মিরপুরে জোরদার করা হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিশ্ছিদ্র জ্যাম উৎপাদন প্রকল্প

মিরপুরে জোরদার করা হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিশ্ছিদ্র জ্যাম উৎপাদন প্রকল্প



AddThis Sharing Bu

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার আরো উঁচু লেভেলে উঠে যাচ্ছে মিরপুর। জ্যাম উৎপাদনের জন্য এরকম ত্রিমুখী কর্মযজ্ঞ আগে দেখেনি মিরপুরবাসী। ক্রমাগত নাগরিক বিভীষিকা দেখে অভ্যস্ত মিরপুরবাসীও এবার কিছুটা অবাক হচ্ছে। কারণ, মিরপুরে এখন একই সাথে চলছে তিনটি বৃহৎ জ্যাম উৎপাদন প্রকল্প।

মেট্রোরেলের কাজের মাধ্যমে জ্যাম উৎপাদনের প্রথম প্রকল্প চালু হয়। এই কাজ আদৌ শেষ হবে কিনা এমন অনিশ্চয়তা যখন নিশ্চিত তখনই 'বাণিজ্যমেলা' এবং 'বিপিএল' চালুর মাধ্যমে যুক্ত হয় জ্যাম উৎপাদন প্রকল্পের আরো দুটি স্তর।'
মোট তিনটি স্তরে চলমান এই জ্যাম উৎপাদন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কথা বলতে গেলে আমরা তাকে অফিসে পাইনি। ফোন করে জানা যায়, তিনি আগারগাঁওয়ে জ্যামে আটকে আছেন৷ তিনি ফোনেই আমাদের জানান এই প্রকল্পের বর্তমান, ভবিষ্যৎ আর স্বপ্নের কথা।

মিরপুরকে জ্যামের আঁতুরঘর উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা এবার অর্গানাইজড ওয়েতে এগোতে চাচ্ছি। বিচ্ছিন্নভাবে জ্যাম উৎপাদনে আমরা আর আগ্রহী নই'৷
তবে অস্থায়ী কিছু প্রকল্পের ব্যাপারেও আগ্রহ আছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগেই রাজধানীর মিরপুরের কালশী এলাকার রাস্তায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। জ্যাম উৎপাদনে এরকম ছোট ছোট প্রকল্প চালু থাকবে সারা বছর।'

তবে তিনটি প্রকল্পই শেষ নয়। ভবিষ্যতে আসছে জ্যাম উৎপাদনের চতুর্থ মেগা প্রকল্প।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক মৃদু হেসে বলেন, 'মেট্রোরেল স্টেশন থেকে নামার পর যাত্রীদের গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে সড়কপথ ব্যবহার করতে হবে। একসঙ্গে বহু যাত্রী এক স্টেশনে নামার পর সড়কপথে যাতায়াতের মাধ্যম কী হবে, তা নির্দিষ্ট করা নেই মেট্রোরেল প্রকল্পে (সূত্র: প্রথম আলো)। ফলে বুঝতেই পারছেন, আসল প্রকল্পটাই এখনো বাকি!'

ত্রিমুখী জ্যামে সার্ভাইভ করে মিরপুরবাসী নতুন দৃষ্টান্ত স্থপন করবে, এমন আশাবাদও তিনি ব্যক্ত করেন। এছাড়া অচিরেই সংসদে মিরপুরের নাম পাল্টে 'ভিড়পুর' রাখার প্রস্তাবনা দেয়া হবে এমনটাও জানালেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.